প্রাচীন কাল হতেই প্রায় সব দেশেই মৃত্যূদন্ড প্রচলিত আছে এবং মৃত্যূদন্ড রাখার পক্ষে বিপক্ষে দীর্ঘকাল যাবৎ বিতর্ক হয়ে আসছে। উভয় পক্ষেরই খুব জোর...
প্রাচীন কাল হতেই প্রায় সব দেশেই মৃত্যূদন্ড প্রচলিত আছে এবং মৃত্যূদন্ড রাখার পক্ষে বিপক্ষে দীর্ঘকাল যাবৎ বিতর্ক হয়ে আসছে। উভয় পক্ষেরই খুব জোরালো ও অকাট্য যুক্তি থাকলেও বিতর্কের মূল বিষয় হচ্ছে কোন কোন অপরাধের জন্য মৃত্যূদন্ডের বিধান থাকবে তাকে কেন্দ্র করে।
জাতিসংঘও এ বিতর্কে নিপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছিল, কিন্তু ইদানিং কালে মৃত্যূদন্ড বিলোপের পক্ষেই এ বিশ্বসংস্থাটি সায় দিতে আরম্ভ করেছে।
আরব দেশে চুরির জন্য হাত কেটে দেওয়া এবং ব্যভিচারের জন্য জনসমক্ষে শিরচ্ছেদ বিধান রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা, মাদ্রাজ, ও বোম্বাই এ তিনটি প্রেসিডেন্সি শহরের জন্য জালিয়াতির জন্য শাস্তি ছিল মৃত্যূদন্ড।
তৃতীয় জর্জের আমলে ২২০ ধরণের অপরাধ ছিল যার শাস্তি মৃত্যূদন্ড। দোকান হতে কোন সামগ্রী চুরি, গবাদি পশু চুরি, গাছ কাটা ইত্যাদির জন্যও মৃত্যূদন্ডের বিধান ছিল।
১৯৬৫ সালে সেখানে মৃত্যূদন্ড বিলোপ করা হয়েছে। শুধু দেশদ্রোহ, কতিপয় ধরনের অপরাধের জন্য জল দস্যুতা এবং যুদ্ধকালীন সময়ে কতিপয় অপরাধের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর লোকজনদের মৃত্যূদন্ড রয়েছে।
আমি এখানে বাংলাদেশে কি কি অপরাধে মৃত্যূদন্ড দেওয়া হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
What are the crimes of the death penalty?
মৃত্যুদণ্ডের অপরাধগুলি কী কী?
বাংলাদেশ দন্ডবিধি অনুযায়ী ৮ টি ক্ষেত্রে মৃত্যূদন্ডের বিধান রয়েছে। এগুলি হচ্ছে-
- বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করা বা প্রচেষ্টা নেওয়া (১২১ ধারা);
- দেশদ্রোহিতার জন্য উস্কানির ফলে দেশদ্রোহিতা ঘটা (১৩২ ধারা);
- মৃত্যূদন্ডের উদ্দেশ্যে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া এবং এর ফলে নির্দোষ ব্যক্তির জীবন নাশ (১৯৪ ধারা);
- খুন (৩০২ ধারা)
- যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত আসামির দ্বারা হত্যা (৩০৩ ধারা);
- শিশু উন্মাদ বা নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করা (৩০৫ ধারা);
- যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তি কর্তৃক খুনের প্রচেষ্টায় আঘাত করা (৩০৭); ও
- ডাকাতি কালে খুন করা (৩৯৬ ধারা)।
- এ্যাসিড জাতীয় দ্রব্য দ্বারা দু’চোখ, মুখমন্ডল, ও মাথায় মারাত্মক জখম করা [ধারা ৩২৬(ক)];
- ১০ বছর বয়সের কম বালক বা বালিকাকে অপহরণ করা [ধারা ৩৬৪(ক)]।
COMMENTS