১৯৮০ সালের কাজী আইন বর্তমানে যা মুসলিম বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন আইন, ১৯৭৪ নামে আখ্যায়িত এবং ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান অনুযায়ী বিয়ের ...
১৯৮০ সালের কাজী আইন বর্তমানে যা মুসলিম বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন আইন, ১৯৭৪ নামে আখ্যায়িত এবং ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান অনুযায়ী বিয়ের কাবিন নামা বা চুক্তিপত্র কাজী বা নিকাহ রেজিষ্ট্রার কর্তৃক রেজিষ্ট্রি করতে হবে। ইহা যদিও বাধ্যতামূলক তবুও এর অবর্তমান বিয়ে অবৈধ হবে না। তবে, বিবাহ রেজিষ্ট্রি না করা হলে উভয় পক্ষ অর্থাৎ বর ও কনে পক্ষ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
সুতরাং একটি বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা না হলে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তা নিম্নে আলোচনা করা হবে।
What are the problems if a marriage is not registered?
বিয়ে নিবন্ধিত না হলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৫(১) ধারায় বর্ণিত হয়েছে যে, প্রত্যেকটি মুসলিম বিয়ে অবশ্যই রেজিষ্ট্রি করতে হবে।
৫(৩) ধারায় বলা হয়েছে যে, যে সকল বিয়ে নিকাহ রেজিষ্ট্রার পড়ান নাই, সে সকল বিয়ে যিনি পড়িয়েছেন তিনি উক্ত বিয়ের তথ্যাদি নিকাহ রেজিষ্ট্রারকে জানাবেন।
৫(৪) ধারায় আরোও বর্ণনা করা হয়েছে যে, সে সকল ব্যক্তি ৫(৩) উপধারা লংঘন করবে, সে ব্যক্তি তিন মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা এক হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডিত হবে।
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৫ নম্বর ধারাটির স্থলে ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রিকরণ আইনের ৩ ও ৫ নম্বর ধারাগুলি প্রযোজ্য হবে।
এতে প্রমাণিত হয় যে, মুসলিম বিয়ে রেজিষ্ট্রিকরণ বাধ্যতামূলক। ইহা লংঘন করলে নিম্নবর্ণিত ফলাফলের সম্মুখীন হতে হয়ঃ
- উত্তরাধিকারীদের মধ্যে উত্তরাধিকার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।
- বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হলে এর মীমাংসা জটিল হতে পারে।
- বিয়ের ফলে জন্ম গ্রহণকারী সন্তানদের মধ্যে বৈধতার প্রশ্ন নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- খোর-পোষের দাবী প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়ে উঠে না এবং তা অগ্রাহ্য হতে পারে।
- মোহরানার দাবীও অগ্রাহ্য হতে পারে।
- কনেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে এরুপ অভিযোগ করলে বর অসুবিধায় পড়তে পারে।
- এছাড়া অন্যান্য ফৌজদারী দায়ের সম্মুখীন হতে হয়।
COMMENTS