মানুষের নিজের শরীর, সম্পত্তি, সুনাম, দখল ইত্যাদির উপর যেমন আইনগত অধিকার স্বীকৃত হয়েছে, তেমনী জমির ভোগদখল ও স্বাচ্ছন্দের অধিকারও স্বীকৃত আছে।...
মানুষের নিজের শরীর, সম্পত্তি, সুনাম, দখল ইত্যাদির উপর যেমন আইনগত অধিকার স্বীকৃত হয়েছে, তেমনী জমির ভোগদখল ও স্বাচ্ছন্দের অধিকারও স্বীকৃত আছে। এই স্বাচ্ছন্দ ও ভোগের দখলে কেউ অহেতুক হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে নুইস্যান্স বা উৎপাতের মামলা করা যায়।
আমি এখানে ব্যক্তিগত উপৎপাতের ক্ষেত্রে কি কি প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
What remedies are available for private nuisance?
ব্যক্তিগত উৎপাতের ক্ষেত্রে কি কি প্রতিকার পাওয়া যায়?
ব্যক্তিগত উৎপাতের জন্য যে সকল প্রতিকারগুলি পাওয়া যায় তা নিম্নরুপঃ
- অপসারণ (Abatement);
- ক্ষতিপূরণ (Damages); ও
- নিষেধাজ্ঞা (Injunction)।
অপসারণ
ক্ষতিগ্রস্তপক্ষ নিজেই উৎপাত অপসারণ করতে পারেন। কারো গাছের ডাল-পালা অন্যের আঙ্গিনায় বিস্তার লাভ করলে সে ব্যক্তি আদালতের সাহার্য ছাড়াই বর্ধিত ডাল-পালাগুলি কেটে দিতে পারে। অবশ্য কাটার পর সেগুলি প্রকৃত মালিকের নিকট ফেরত দিতে হবে। অপসারণ শান্তিপূর্ণ হতে হবে এবং কারো প্রতি যে ঝুুঁকিপূর্ণ না হয় তা দেখতে হবে। কারো প্রাঙ্গনে প্রবেশের প্রয়োজন হলে তার জন্য নোটিশ দিতে হবে। অবশ্য যে ক্ষেত্রে দেরি করা নিরাপদ নয় সেক্ষেত্রে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোটিশ প্রয়োজন হয় না।
ক্ষতিপূরণ
ক্ষতিপূরণ দাবী করতে হলে বাদীকে বিশেষ ক্ষতি প্রমাণ করতে হবে। সাধারণতঃ নিষেধাজ্ঞা প্রতিকার হিসেবে কামনা করা হয়। কিন্তু যেক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ সামান্য এবং তা টাকার অঙ্কে নিরুপণ করা যায় ও যথার্থ বিবেচিত হয়, সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয়া যায়।
নিষেধাজ্ঞা
সাধারণতঃ নিষেধাজ্ঞােই যথার্থ প্রতিকার। কারণ বাদী ক্ষতিপূরণ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না, যতক্ষণ না উৎপাতটির পুনরাবৃত্তি রোধ করা না যায়। ক্ষতির পরিমাণ যেখানে বেশি কিংবা স্থায়ী ধরণের কিংবা আর্থিক ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট বিবেচিত হয় না, সেক্ষেত্রে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারেন। ক্ষতির পরিমাণ সামান্য হলেও যদি স্থায়ী প্রকৃতির হয় তবে সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায়।
COMMENTS