গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলি প্রতিনিয়তই কতিপয় চতুর ও দুষ্কৃতিকারী মানুষের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়। আবার অনেক সময় শিক্ষিত মানুষরাও প্রতারকদের ...
গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলি প্রতিনিয়তই কতিপয় চতুর ও দুষ্কৃতিকারী মানুষের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়। আবার অনেক সময় শিক্ষিত মানুষরাও প্রতারকদের ফাঁদে আবদ্ধ হন। উহার বাস্তব উদাহরণ হলো- দলিলে চুক্তির বাহিরে অতিরিক্ত কিছু উল্লেখ করা।
নিম্নে আমি আপনাদের সুবিধার্থে দলিল কখন সংশোধন করা যায় সে ব্যপারে আলোচনা তুলে ধরব। আশা করি প্রিয় পাঠক উপকৃত হবেন।
When can an instrument be rectified?
কখন একটি দলিল সংশোধন করা যায়?
১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩১ ধারার বিধান সাপেক্ষে একটি দলিল সংশোধন করা যায়। এই ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে প্রতারণার মাধ্যমে পক্ষসমূহের পারস্পারিক ভূলের দরুন কোন চুক্তি অপর কোন লিখিত দলিল সত্যিকারভাবে তাদের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে না, যে কোন পক্ষ অথবা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দলিল সংশোধন করে নেওয়ার জন্য মামলা দায়ের করতে পারে। আদালতের নিকট যদি ইহা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, দলিল প্রণয়নের সময় প্রতারণা কিংবা ভূল করা হয়েছে এবং তা কার্যকরী করার ব্যপারে পক্ষসমূহের সত্যিকার উদ্দেশ্য নিরুপণ করতে সক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে আদালত তার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা অনুসারে যতদূর পর্যন্ত তা তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক সরল বিশ্বাসে এবং মূল্যের বিনিময়ে অর্জিত অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে করা যায়, ততদূর পর্যন্ত দলিল সংশোধন করতে পারেন, যাতে করে তা সেই উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতে সক্ষম হয়।
দলিল সংশোধনের প্রয়োজনীয় উপাদান
এই ধারায় বর্ণিত বিধান অনুসারে কোন দলিল সংশোধন করতে হলে নিম্নলিখিত উপাদানগুলি অবশ্যই থাকতে হবেঃ
- একটি প্রকৃত চুক্তি থাকতে হবে, যা প্রকাশ্য বা স্পষ্ট চুক্তি হতে ভিন্নতর।
- প্রতারণা বা ভূল অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু ভূলটি অবশ্যই পারস্পারিক বা সাধারণ ভূল হতে হবে, এক পক্ষীয় বা এক তরফা ভূল হলে চলবে না। এক পক্ষীয় ভূলের ক্ষেত্রে চুক্তি রদ করা যায়। কিন্তু দলিল সংশোধন করা যায় না, এরুপ সংশোধন দ্বারা কোন নোটিশ বিহীন প্রকৃত ক্রেতার অর্জিত অধিকারকে কার্যকর করা যায় না।
COMMENTS