আপনি জানেন যে, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় সামাজিক শান্তি-শৃংখলা বিঘ্নিত হবার মত অপরাধ করলে এবং অন্যের শারীরিক বা সম্পত্তির গুরুতর ক্ষতিসাধন করল...
আপনি জানেন যে, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় সামাজিক শান্তি-শৃংখলা বিঘ্নিত হবার মত অপরাধ করলে এবং অন্যের শারীরিক বা সম্পত্তির গুরুতর ক্ষতিসাধন করলে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে প্রতিকার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই প্রতিকার পাওয়া বা না পাওয়ার পিছনের ট্রাজেডি অংশ কেবল ভূক্তভোগীরাই অবগত।
সুতরাং আমি এখানে কিভাবে একজন নিরাপরাধ ব্যক্তি ফৌজদারী বিচার প্রশাসন কর্তৃক নিপিড়িত হচ্ছে তার ছোট্ট একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করব।
Why is the criminal justice administration killing you?
ফৌজদারি বিচার প্রশাসন কেন আপনাকে হত্যা করছে?
আইনের একটা নীতি হচ্ছে যে,
It is better that ten guilty person should escape punishment rather than one innocent should suffer.
“অর্থাৎ ১ জন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার চেয়ে ১০ জন অপরাধীকে খালাস দেওয়া শ্রেয়।”
তবে, আপনি বাংলাদেশে এই নীতির বিপরীত বিচার নীতি দেখতে পাবেন। ফৌজদারী বিচার প্রশাসনের ক্ষেত্রে নালিশী মামলা ছাড়া অন্যান্য মামলায় পুলিশের ভূমিকা বেশি থাকে। আই. ও. বা তদন্তকারী কর্মকর্তার সদিচ্ছা ও তৎপরতার উপর এরুপ বিচারের পরিণতি অনেকটা নির্ভর করে। সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসাটা অযথা বিড়ম্বনা বা হয়রানী মনে করে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই শুধু সাক্ষ্যের অভাবে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হয় না; বরং বিচার প্রার্থী ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হয়।
পুলিশের নিকট ফৌজদারী কার্যবিধি (১৮৯৮) এর ১৬১ ধারায় প্রদত্ত সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হয় না, কিন্তু ম্যাজিস্টেটের নিকট crPC এর ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য।
তাই ম্যাজিস্টেটের নিকট প্রদত্ত বক্তব্য আর পুলিশের নিকট বক্তব্য এক না হলে আড়ালে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসামীর উপর পুলিশ অত্যাচার চালায়। এ অত্যাচারে কোন কোন সময় অপরাধ না করেও অপরাধ স্বীকার করে শুধু অত্যাচার থেকে সাময়িকভাবে পরিত্রাণ পাবার জন্য।
এভাবেই আপনি এবং আপনার মত অনেক নিরহ ও নিরাপরাধ মানুষকে ফৌজদারি বিচার প্রশাসন হত্যা করছে।
এরুপ বিচার ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিস্ময়কর উন্নতিতে প্রকৃত অপরাধীকে ধরা খুব কঠিন নয়। এজন্য পদ্ধতিগত আইনকে সংশোধন করে যুগোপযোগী করতে হবে।
COMMENTS