প্রাক-ইসলামী যুগে আরব সমাজে উত্তরাধিকার সম্পর্কে ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল তাতে মৃত ব্যক্তির পুত্র সন্তান ও যুদ্ধক্ষম আত্মীয় ব্যতীত অন্য কেউ উত্ত...
প্রাক-ইসলামী যুগে আরব সমাজে উত্তরাধিকার সম্পর্কে ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল তাতে মৃত ব্যক্তির পুত্র সন্তান ও যুদ্ধক্ষম আত্মীয় ব্যতীত অন্য কেউ উত্তরাধিকারী হতে পারতো না। ফলে, পিতা, মাতা, স্ত্রী, কন্যা প্রভৃতি সকলেই উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত হতো। কুরআন মাজিদের সূরা বাকারার ১৮০ নম্বর আয়াত উইলের ভিত্তি স্বরুপ নাজিল হয়।
নিম্নে আমি মুসলিম আইনে উইল ও উহার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আলোকপাত করব।
Will in Muslim law and its limitations
মুসলিম আইনে উইল ও উহার সীমাবদ্ধতা
একজন মুসলমান তার মৃত্যূর পর পরিত্যাক্ত সম্পত্তি কিভাবে বিলি বন্টন করা হবে কিংবা কারো অনুকূলে কিছু সম্পত্তি প্রদান করার ব্যাপারে তার সুস্পষ্ট ঘোষণাকে উইল বলে যা তার মৃত্যূর পর কার্যকরী হবে।
প্রখ্যাত আইন বিশারদ জারম্যান বলেন যে, উইল হলো এমন একটি দলিল যা দ্বারা কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি এমন বিলি-বন্টন ব্যবস্থা করতে পারে, যা তার (উইলদাতার) মৃত্যূর পর কার্যকরী হবে।
১৯২৫ সালের সাকসেশন এ্যাক্টে বলা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তির সম্পত্তির ব্যবস্থা করার জন্য তার ইচ্ছার লিখিত ঘোষণাকে উইল বলে যা তার মৃত্যূর পর কার্যকরী হবে।
উইলের অত্যাবশ্যকীয় শর্তসমূহ
একটি বৈধ উইলের জন্য নিম্নবর্ণিত শর্তগুলি অত্যাবশ্যকীয়ঃ
- উইল সম্পাদনকারীকে মুসলিম, প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ বুদ্ধি সম্পন্ন হতে হবে। ১৯৭৫ সালের সাবালকত্ব আইনের বিধানমতে, ১৮ বছর বয়স্ক ব্যক্তি সাবালক হিসেবে গণ্য হবে।
- উইল লিখিত কিংবা মৌখিক হতে পারে। তবে লিখিত হওয়াই উত্তম।
- উইল সম্পাদনকারীর মৃত্যূকালে যে সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি থাকবে এ সকল সম্পত্তিই উইলের বিষয়বস্তু হতে পারে।
- উইল ঘোষণাকারীর ইচ্ছা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হতে হবে।
- উইলটি সম্পাদনের সময়ে সম্পত্তির অস্তিত্ব অবশ্যই থাকতে হবে।
COMMENTS