ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ জাতীয় তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং ডেটা অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন, বিচার, এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত আই...
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ জাতীয় তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং ডেটা অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন, বিচার, এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত আইন বিকাশের জন্য প্রণীত হয়েছিল। যেমন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভুয়া সংবাদ বন্ধ করা, কোনও ওয়েবসাইট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে যে কোন উপাদান প্রকাশ বা সংক্রমণ করে যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে সহিংসতার প্ররোচনা, এবং ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ প্রভৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজিট্যালভাবে সংঘটিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা।
সুতরাং একজন সচেতন নাগরিকের ডিজিট্যাল নিরাপত্তা আইন ও উহার অধীনে সংঘটিত মামলার সাজা-শাস্তি সম্পর্কে জানা অত্যাবশ্যক।
তাই এখানে আমি ডিজিট্যাল অপরাধসমূহ ও কিভাবে ডিজিট্যাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
How to sue under the Digital Security Act?
কিভাবে ডিজিট্যাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবেন?
Digital Security Act, 2018 তে ডিজিট্যাল নিরাপত্তার সংজ্ঞা দেওয়া না থাকলেও সামগ্রিকভাবে ডিজিট্যাল নিরাপত্তা বলতে যা বুঝায় তা হলো-
“তথ্যের অবাধ বিনিময় নিশ্চিত করার জন্য গোপনীয়তা, স্বচ্ছতা, অ্যাক্সেসিবিলিটি ইত্যাদির মতো বৈশিষ্ট্যগুলিকে একীভূত করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।”
ফলে, ডিজিট্যাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ অনুসারে, অপবাদ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, আইন শৃঙ্খলা অপব্যবহার করা এবং ওয়েবসাইটে বা ইলেকট্রনিক আকারে যে কোনও উপাদান প্রকাশের মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া ডিজিট্যাল অপরাধের অন্তর্ভূক্ত।
অধিকন্তু, এই আইনের ১৮ থেকে ৩৮ অনুচ্ছেদে বিভিন্ন অপরাধ ও শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এতদ্ভিন্ন, এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধসমূহ দুই ধরনের রয়েছে। যথাঃ
- জামিনযোগ্য (Bailable offenses); ও
- অজামিনযোগ্য (Non-bailable offenses)।
মামলার করার নিয়ম
- বাদী ও আসামীদের একটি নাম, ঠিকানা এবং পরিচয় থাকতে হবে;
- যদি কোন সাক্ষী থাকে তবে সাক্ষীর নাম, ঠিকানা এবং পরিচয় উল্লেখ করতে হবে;
- ঘটনার কারণ, ঘটনার স্থান এবং ইউনিয়নের নাম, সময়, তারিখ দিতে হবে
- অভিযোগ বা দাবির ধরণ ও উহার মূল্যমান উল্লেখ করতে হবে;
- ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং এর প্রতিকারের বিষয়টি উল্লেখ করা উচিত;
- দুই পক্ষের সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করা বাঞ্চনীয়;
- সাক্ষীদের অবশ্যই ভূমিকা রাখতে হবে;
- দেরি করে মামলা করা হলে বিলম্বের কারণগুলি উল্লেখ করতে হবে;
- আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকতে হবে;
- একটি ফাইলিং তারিখ থাকতে হবে; ও
- যেহেতু মামলাটি একটি ডিজিট্যাল ডিভাইসের সাথে সম্পর্কিত, স্ক্রীনশট কিংবা ইউআরএল (url) লিঙ্কটি ঘটনার প্রমাণ হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
COMMENTS