ইসলাম কৌমার্য (Celibacy) কে অনুৎসাহিত করেছ এবং বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নারি ও পুরুষের পারস্পারিক যৈবিক চাহিদা মেটানোকে আইনীভাবে স্বীকৃতি প...
ইসলাম কৌমার্য (Celibacy) কে অনুৎসাহিত করেছ এবং বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নারি ও পুরুষের পারস্পারিক যৈবিক চাহিদা মেটানোকে আইনীভাবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। সুন্নী আইনে বিয়ে ৩ প্রকারে হয়ে থাকে। যেমন, ছহিহ, ফাসিদ ও বাতিল বিয়ে।
নিম্নে আমি বাতিল ও ফাসিদ বিয়ের মধ্যে যে সব পার্থক্য রয়েছে তা তুলে ধরব। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
The distinction between void and irregular marriage
বাতিল ও ফাসিদ বিয়ের মধ্যে পার্থক্য
বাতিল ও ফাসিদ বিয়ের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। নিম্নে সবিস্তারে উপস্থাপন করা হলোঃ
(১) বাতিল বিয়ে আইনের দৃষ্টিতে কোন বিয়েই নয় এবং এর বিচ্যূতি সমূহ স্থায়ী। যেমন, রক্ত সম্পর্কিত (Consanguinity) ও দুগ্ধ সম্পর্কিত (Fosterage) বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে বিয়ে করলে মুসলিম আইনে তা বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।
পক্ষান্তরে, যে সকল বিয়ে সম্পূর্ণরুপে বৈধও নয় কিংবা বাতিলও নয় সেগুলিকে অনিয়মিত বিয়ে। এই গুলির দোষ সাময়িক ও সংশোধনযোগ্য। যেমন, ৪ জন স্ত্রী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও ৫ম বার বিয়ে করলে তা অনিয়মিত বিয়ে হবে। কিন্তু যে কোন ১টি তালাক দিলে আবার তা বৈধ হয়ে যাবে। এছাড়া কোন ব্যক্তি যদি অবৈধ সংযোগ অর্থাৎ স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করে তবে বিয়েটি ফাসিদ বলে গণ্য হবে।ফলে, এক্ষেত্রে তাদের যে কোন একজনকে তালাক দিলে বিয়েটি বৈধ হয়ে যাবে।
সাধারণভাবে, একটি অনিয়মিত বিবাহ হলো অকার্যকরযোগ্য বিবাহ তবে ‘ভয়িড এ্যাব ইশিও’ নয়। যদি অনিয়মিত বিবাহ থেকে অনিয়ম দূর করা যায় তাহলে বিবাহটি বৈধ হয়ে যায়। সুতরাং, সুন্নি সম্প্রদায়ের একজন মুসলিম পুরুষ যদি কোনও ইহুদী মহিলাকে বিয়ে করে এবং তাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে, তবে বিবাহটি বৈধ হয়ে যাবে।
(২) বাতিল বিয়ে কোন প্রকার অধিকার ও দায় সৃষ্টি করে না। পক্ষান্তরে, অনিয়মিত বিয়ে তা সৃষ্টি করে।
(৩) বাতিল বিয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধি-নিষেধ স্থায়ী ধরণের কিন্তু অনিয়মিত বিয়ের ক্ষেত্রে এগুলি সাময়িক ও অস্থায়ী ধরণের।
(৪) বাতিল বিয়ের দোষ সংশোধনযোগ্য নয় বিধায় তা কখনো বৈধ করা যায় না। অপর পক্ষে, অনিয়মিত বিয়ের দোষ সংশোধনযোগ্য বিধায় এগুলি দূর করলে বিয়ে বৈধ হয়ে যায়।
(৫) বাতিল বিয়ের সন্তান-সন্ততি বৈধ নয় এবং তারা উত্তরাধিকারসহ কোন প্রকার আইনগত অধিকারের দাবীদার নয়। পক্ষান্তরে, অনিয়মিত বিয়ের সন্তানাদি বৈধ এবং উত্তরাধিকারসহ সকল প্রকার আইনগত অধিকার পেতে হকদার।
(৬) অনিয়মিত বিয়ে একমাত্র সুন্নী সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত আছে, শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে নাই। সেজন্য বাতিল ও অনিয়মিত বিয়ের মধ্যে পার্থক্য শুধু সুন্নী আইনেই বিদ্যমান শিয়া আইনে নয়।
COMMENTS