সংবিধান একটি রাষ্ট্রের শক্তি সংগঠিত, বিতরণ এবং নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও ইহা রাজ্যের কাঠামো, প্রধান রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলি এবং একে অপরের সাথে এব...
সংবিধান একটি রাষ্ট্রের শক্তি সংগঠিত, বিতরণ এবং নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও ইহা রাজ্যের কাঠামো, প্রধান রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলি এবং একে অপরের সাথে এবং রাজ্যের নাগরিকদের সাথে তাদের সম্পর্ক পরিচালিত নীতিগুলি নির্ধারণ করে।
নিম্নে আমি ব্রিটিশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করব। আশা করি আপনি উপকৃত হবে।
What are the characteristics of the British Constitution?
ব্রিটিশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?
বর্তমান বিশ্বে ব্রিটিশ সংবিধান এক অভিনব ও বৈচিত্রপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে। এই সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরুপঃ
প্রথমতঃ ব্রিটিশ সংবিধান মূলতঃ অলিখিত। অন্যান্য দেশের ন্যায় সংবিধান হিসেবে কোন নির্দিষ্ট দলিল এদেশে নাই। তাই অনেকে এ সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। ব্রিটিশ সংবিধান সম্পর্কে টমাস পেইন বলেন, “যা দেখা যায় না এবং উপস্থাপিত করা যায় না তাকে কখনো সংবিধান বলা যায় না।” টকভিলও বলেছেন, “ব্রিটিশ সংবিধানের কোন অস্তিত্ব নাই।”
সংবিধান অলিখিত হলেও কতিপয় লিখিত দলিল, যেমন, ম্যাগনা কার্টা, বিল অব রাইটস, এ্যাক্ট অব সেটেলমেন্ট, হেবিয়াস কর্পাস এ্যাক্ট ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল। সুতরাং বলা যায় যে, ব্রিটিশ সংবিধান লিখিত আকারে না থাকলেও তা সম্পূর্ণ অলিখিতও নয়।
দ্বিতীয়ঃ ব্রিটিশ সংবিধান নমনীয় বা সুপরিবর্তনীয়। প্রয়োজনে সাধারণ আইনের ন্যায় একে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যায়। তাই বলে অতি সহজে এবং যে কোন সময়েই একে পরিবর্তন করা যায় না। তাই অধ্যাপক লাস্কি বলেন যে, ইংল্যান্ডের সংবিধানে কোন আইন পরিবর্তন করতে হলে কমপক্ষে ২৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়। কাজেই নমনীয় হিসেবে পরিচিত হলেও এই সংবিধান প্রকৃতপক্ষে অনমনীয়ও বটে।
তৃতীয়তঃ ব্রিটিশ সংবিধান একটি এককেন্দ্রিক সংবিধান। আমেরিকা বা কানাডার সংবিধানের মত ইহা যুক্তরাষ্ট্রীয় নয়। এই সংবিধান মোতাবেক রাজা বা রাণী ও পার্লামেন্টই শাসনতান্ত্রিক প্রধান। সুতরাং কেন্দ্রীয় সরকার এ দেশের শাসন কার্য পরিচালনা করে থাকে।
চতুর্থতঃ ইংল্যান্ডের শাসনতন্ত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ধারাবাহিকতা ও পরিবর্তনশীলতা। যুগ যুগ ধরে বিবর্তনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সংবিধান গড়ে উঠেছে। তাই ডাইসী বলেছেন যে, ব্রিটিশ সংবিধান সৃষ্টি করা হয় নাই, ইহা গড়ে উঠেছে।
পঞ্চমতঃ ব্রিটিশ সংবিধানের সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি। ইংল্যান্ডের শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি গুলিকে প্রধানতঃ তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়।
- রাজতন্ত্র ও ক্যাবিনেট সম্পর্কিত রীতিনীতি।
- পার্লামেন্টের অভ্যন্তরীণ কার্য পদ্ধতি সম্পর্কিত রীতিনীতি।
- ব্রিটিশ কমনওয়েলথ সম্পর্কিত রীতিনীতি।
COMMENTS