শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১০০ ধারায় দৈনিক কর্মঘন্টা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, কোন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক কোন প্রতিষ্ঠানে সাধারণত দৈনিক আট (৮) ঘন্টার অধিক ...
শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১০০ ধারায় দৈনিক কর্মঘন্টা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, কোন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক কোন প্রতিষ্ঠানে সাধারণত দৈনিক আট (৮) ঘন্টার অধিক সময় কাজ করবেন না বা তাকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। তবে, ১০৮ ধারায় যে ওভার-টাইমের বিধান রয়েছে সেটা সাপেক্ষে একজন শ্রমিককে দৈনিক দশ (১০) ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করানো যাবে।
এছাড়াও, একজন শ্রমিক কোন বিশেষ কারণ বশতঃ ছুটি নিতে পারে। সেক্ষেত্রে ছুটি নেয়ার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে।
নিম্নে আমি শ্রমিকদের ছুটি নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
What is the procedure of taking leave by workers?
শ্রমিক কর্তৃক ছুটি নেয়ার পদ্ধতি কি?
শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১০ ধারায় ছুটির পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে-
- কোনও শ্রমিক যদি ছুটি নিতে চান, তবে তাকে তার মালিকের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে এবং ছুটির সময় তার অবস্থানকালীন ঠিকানাটি উল্লেখ করতে হবে।
- মালিক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা অনুরুপ দরখস্ত পাবার সাতদিনের মধ্যে ছুটি হবার দুই দিন পূর্বে, যা আগে সংঘটিত হয় তার আদেশ প্রদান করবেন। তবে জরুরি কারণ বশতঃ যদি প্রার্থিত ছুটির দরখস্তের তারিখে অথবা এর তিন দিনের মধ্যে শুরু করতে হয়, তাহলে অনুরুপ আদেশ দরখস্ত পাবার দিনেই প্রদান করতে হবে।
- যদি প্রার্থিত বা আবেদিত ছুটি অনুমোদন করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে একটি ছুটির পাস দেয়া হবে।
- যদি প্রার্থিত ছুটি নামঞ্জুর বা স্থগিত করা হয় তাহলে নামঞ্জুর বা স্থগিতাদেশের কারণসহ ইহা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রার্থিত ছুটি আরম্ভ হবার তারিখের পূর্বে অবহিত করতে হবে এবং উতদুদ্দেশ্যে রক্ষিত রেজিষ্টারে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে।
- যদি কোন শ্রমিক ছুটি যাবার পর ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করতে চান, তাহলে তাকে, ছুটি পাওনা থাকলে, ছুটি শেষ হবার যথেষ্ট আগে এর জন্য মালিকের নিকট দরখস্ত করতে হবে এবং মালিককে ছুটি বর্ধিতকরণের আবেদন অনুমোদন বা অনানুমোদন করে শ্রমিকের ছুটির ঠিকানায় লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
COMMENTS