আধুনিক বিশ্বে ব্যাংকের সহায়তা ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা প্রায় অকল্পনীয়। ফলে, গত এক দশকে বাংলাদেশে চেকের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং ...
আধুনিক বিশ্বে ব্যাংকের সহায়তা ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা প্রায় অকল্পনীয়। ফলে, গত এক দশকে বাংলাদেশে চেকের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং এই চেকের মাধ্যমে অধিক পরিমাণে লেনদেনের কারণে, চেক ডিজঅর্নার হওয়ার সম্ভাবনাও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর এই পরিস্থিতি মোকাবেলা ও হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশ সরকার পর্যাপ্ত আইনী প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
নিম্নে আমি চেক ডিজঅর্নার ও তৎসংশ্লিষ্ট আইনী করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রত্যাশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
What to do if a cheque is dishonored?
চেক ডিজঅর্নার হলে কি করণীয়?
কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত চেক ব্যাংকে উপস্থাপনের পর নির্দিষ্ট কারণ বশতঃ ব্যাংক যদি চেক জমাকারীর কাছে অর্থ প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তাকে চেক ডিজঅর্নার বলে।
উদাহরণস্বরুপ, আপনি ‘ক’ এর নিকট পাঁচ লক্ষ টাকা পাবেন। ফলে, ‘ক’ আপনাকে পাওনা টাকার বিপরীতে একটি পাঁচ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করে। আপনি উক্ত চেক ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক ‘ক’ এর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় কিংবা ‘স্বাক্ষর অমিল’ অথবা অন্য কোন কারণে চেকটি ডিজঅর্নার করে এবং আপনাকে একটি ডিজঅর্নার স্লিপ ইস্যূ করে। এ ক্ষেত্রে, চেক প্রদানকারী আইন অনুযায়ী একটি অপরাধ করেছে।
বাংলাদেশে প্রচলিত আইন হস্তান্তরযোগ্য দলিল, ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারা মোতাবেক এ ধরণের অপরাধ প্রমাণের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়ঃ
- ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নগদ করার জন্য চেকটি জমা দিতে হবে;
- ব্যাংকে চেকটি ডিজঅর্নার হওয়ার পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চেক প্রদানকারীকে টাকা পরিশোধের জন্য লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করতে হবে;
- লিগ্যাল নোটিশে চেক প্রদানকারীকে টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিনের আল্টিমেটাম দিতে হবে; এবং
- নির্ধারিত ৩০ দিনের মধ্যে চেক প্রদানকারী অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে।
কোন কোর্টে মামলা করবেন
- মূল চেক;
- ডিজঅর্নারের মেমো;
- লিগ্যাল নোটিশের কপি;
- ডাক রসিদ; এবং
- নোটিশ প্রাপ্তি রসিদ (যদি থাকে)।
COMMENTS