বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে। অনুরুপভাবে, বাংলাদেশেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি স্বতন্...
বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে। অনুরুপভাবে, বাংলাদেশেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি স্বতন্ত্র পদ্ধতি রয়েছে। তবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্রপতি ও সংসদীয় উভয় ব্যবস্থার কারণে বহুবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা হয়েছে।
নিম্নে আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
How is the president of Bangladesh elected?
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কিভাবে নির্বাচিত হন?
১৯৯১ সালে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর পূর্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হতেন। এটা অবশ্য ১৯৭৪ সালে চুতর্থ সংশোধনীর পর এরুপ বিধান প্রবর্তিত হয়েছে। দ্বাদশ সংশোধনীর পর আবার সংসদীয় সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয় এবং বিধান করা হয় যে, রাষ্ট্রপতি আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হবেন। [অনুচ্ছেদ ৪৮(১)]
৪৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবাার যোগ্য হবেন না যদি তিনি-
- ৩৫ বছরের কম বয়স্ক হন;
- অথবা, সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হবার যোগ্য না হন;
- অথবা, এই সংবিধানের অধীনে Impeachment বা অভিশংসনের মাধ্যমে কখনও পদ থেকে অপসারিত হন।
ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৪৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি দেশের সকল ব্যক্তির উর্ধ্বে স্থান লাভ করবেন। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের যে কোন বিষয় সম্পর্কে অবহিত থাকার অধিকার রাষ্ট্রপতির রয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। [৪৮(৫) অনুচ্ছেদ]
৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী নিয়োগ দান করবেন। কোন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আদৌ কোন পরামর্শ দান করছেন কিনা এবং করে থাকলে কি পরামর্শ দান করেছেন কোন আদালত সে সম্পর্কে কোন প্রশ্নের তদন্ত করতে পারবেন না।
৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, আদালত ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত যে কোন সাজা ক্ষমা, বিলম্ব ও বিরতি প্রদান এবং কোন সাজা ছাড়, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতার অধিকারী রাষ্ট্রপতি হইবেন।
৫১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি তাঁর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বা অনুরুপ বিবেচনায় কোন কার্য করে থাকলে বা না করে থাকলে, সেজন্য কোন আদালতে তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে না তবে সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার সকলের থাকবে।
এই অনুচ্ছেদে আরোও বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতির কার্যভারকালে তাঁর বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রকার ফৌজদারী কার্যধারা দায়ের করা বা চালু রাখা যাবে না এবং তাঁর গ্রেপ্তার বা কারাবাসের জন্য কোন আদালত হতে পরোয়ানা জারি করা যাবে না।
মেয়াদকাল
৫০ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাঁর কার্যভার গ্রহণ করার তারিখ হতে ৫ বছরের জন্য তাঁর পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন তবে মেয়াদ শেষ হলেও তাঁর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাঁর পদে বহাল থাকবেন। এই অনুচ্ছেদে আরোও বলা হয়েছে যে, একাদিক্রমে হোক বা না হোক এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারবেন।
COMMENTS