কর্য্য বা ঋণ হলো এক পক্ষ অন্য পক্ষের কাছ থেকে নেওয়া অর্থের পরিমাণ। দৈনন্দিন জীবনে আমরা নানা কারণে কর্য্য বা ধার প্রদান করে থাকি। অনেক সময় ল...
কর্য্য বা ঋণ হলো এক পক্ষ অন্য পক্ষের কাছ থেকে নেওয়া অর্থের পরিমাণ। দৈনন্দিন জীবনে আমরা নানা কারণে কর্য্য বা ধার প্রদান করে থাকি। অনেক সময় লিখিত কোন দলিল বা নথি না থাকার কারণে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। ফলে, পারস্পারিক লেনদেনের কর্য্য নামা পত্র যদি ৩০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে করা হয় তাহলে আপনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে, আপনি বাংলাদেশের প্রচলিত দন্ডবিধির ৪২০ ধারা ও ৪০৬ অনুসারে প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। কেণনা, ৪২০ ধারা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি তিন বছরের কারাদন্ড কিংবা অর্থ দন্ডে দন্ডিত হবেন অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। অন্যদিকে, বিশ্বাস ভঙ্গের দায়ে শাস্তি ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
নিম্নে আমি কর্য্য নামা পত্রের একটি নমূনা আপনার সুবিধার্থে তুলে ধরলাম। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
Deed of debt
কর্য্য নামা পত্র
বরাবরঃ মোসাঃ পারভিন সুলতানা, জং মোঃ প্রদীপ শেখ
সাং তেরখাদিয়া, থানা- রাজপাড়া, জেলা- রাজশাহী।
জাতিঃ মুসলিম, পেশাঃ গৃহিনী
লিখিতং- মোঃ রায়হানুল ইসলাম, পিতাঃ মৃত আবুল ফজল
সাং হরিপুর, থানা- পবা, জেলা- রাজশাহী।
জাতিঃ মুসলিম, পেশাঃ জোত জমাদি।
পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নাম স্মরণ করিয়া অত্র কর্য্য নামা পত্র লিখিতে আরম্ভ করিতেছি যে, আমার নিজ প্রয়োজনে নগদ টাকার বিশেষ আবশ্যক হওয়ায় আপনার নিকট টাকা কর্য্যর জন্য স্মরনাপন্ন হইলে তাহাতে আপনী আমার সার্বিক দিক বিবেচনা করিয়া আমাকে টাকা ধার বা কর্য্য দিতে রাজি বা সম্মত হইলেন মতে আপনী আমাকে কর্য্য বাবদ নগদ ৩,০০০০০/- মঃ তিন লক্ষ টাকা প্রদান করিলে তাহা আমি নগদ একযোগে বুঝিয়া পাইয়া অত্র কর্য্য নামা পত্র আপনার নাম বরাবরে লিখিয়া দিয়া স্বীকার ও অঙ্গীকার করিতেছি যে, অদ্য হইতে আগামী ০৫ বছরের মধ্যে কর্য্যর টাকা আমি একযোগে আপনাকে প্রদান করিব বা পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিব বা রহিলাম।
যদি উক্ত সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হই বা কোন প্রকার ছলচাতুরী বা টালবাহানা করি তবে আপনি আইন আদালত সাহায্যে ক্ষতিপূরণসহ আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি হইতে আদায় করিয়া লইতে পারিবেন। তাহাতে আমার কোন প্রকার ওজরাপত্তি চলিবে না বা করিতে পারিবনা এবং কৃত অপরাধের জন্য আইনতঃ দন্ডনীয় হইব। আমি বিশ্বাস ভঙ্গের অপরাধে আইনতঃ দন্ডনীয় হইব।
এতদ্বার্থে সুস্থ্য শরীরে স্বজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় নিম্নোক্ত স্বাক্ষীগণের সাক্ষাতে কর্য্যর টাকা বুঝিয়া পাইয়া অত্র কর্য্য নামা পত্র লিখিয়া সম্পাদন করিলাম। ইতি ইং ১১/১২/২০২০ সাল
মোঃ রায়হানুল ইসলাম
স্বাক্ষী
১। মোঃ নজরুল ইসলাম
সাং মোল্লাপাড়া, রাজশাহী কোর্ট,
রাজশাহী।
২। রফিকুল ইসলাম
সাং তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া,
রাজপাড়া, রাজশাহী।
৩। মোস্তাফিজুর রহমান
সাং বাঁশের আড্ডা, রাজশাহী কোর্ট,
রাজশাহী।
৩ তিন ফর্দ্দে লেখা রহিল।
লেখকঃ মোঃ আবু তালহা
রাজশাহী কোর্ট, রাজপাড়া, রাজশাহী।
COMMENTS