উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিগুলির বন্টন সংক্রান্ত সমস্ত বিধি-বিধান আল্লাহর নিয়মিত নিয়ম। বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করে এই নিয়মগুলি পরিবর্...
উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিগুলির বন্টন সংক্রান্ত সমস্ত বিধি-বিধান আল্লাহর নিয়মিত নিয়ম। বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করে এই নিয়মগুলি পরিবর্তন করার অধিকার বা কর্তৃত্ব কারোও কাছে নেই। যেমন, একজন পুরুষ একজন নারীর দ্বিগুণ অংশ পায়। তবে, উত্তরাধিকারের অংশের এই ভিন্নতা লিঙ্গগত পার্থক্যের কারণে নয়, বরং ঐশিক জ্ঞান এবং উদ্দেশ্যগুলির কারণে যা অনেকে দেখতে ব্যর্থ হয়।
নিম্নে উহার কারণসমূহ তুলে ধরা হলো-
Why male inherit twice the female?
পুরুষের অংশ নারীর দ্বিগুণ কেন?
ইসলাম মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই অধিকার দিয়েছে। উত্তরাধিকারে পুরুষের অংশ মেয়ের অংশের দ্বিগুণ হয়। ধর্মীয় কারণ ও সামাজিক কারণে এটা হয়ে থাকে।
ধর্মীয় কারণ
উত্তরাধিকার আইনের তথা মুসলিম আইনের মূল উৎস হচ্ছে কুরআন মাজিদ। সেখানে বলা হয়েছে যে, এক পুরুষের অংশ দুই নারীর অংশের সমান, সেখানে নিম্নরুপ নির্দেশ রয়েছেঃ
- মৃত ব্যক্তি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেলে ছেলে দুই অংশ এবং মেয়ে এক অংশ পাবে।
- যদি ওয়ারিশ একাধিক (পুরুষ/মহিলা) হয়, সেক্ষেত্রে পুরুষ মহিলার দ্বিগুণ হিসেবে সম্পদের ওয়ারিশ হবে।
- যদি সন্তানের সাথে আছহাবুল ফুরুজ (যাদের অংশ নির্ধারিত) থাকে, যেমন স্বামী ও স্ত্রী বা পিতা-মাতা, সেক্ষেত্রে আছহাবুল ফুরুজকে অংশ প্রদানের পর অবশিষ্টাংশ সন্তানদের মধ্যে এক পুরুষ দুই মহিলার অংশের সমান লাভ করার নীতিতে বন্টিত হবে।
সামাজিক কারণ
উত্তরাধিকারে পুরুষের অংশ নারীর অংশের দ্বিগুণ হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো সামাজিক কারণ। তা নিম্নরুপঃ
- মহিলার প্রয়োজনীয় ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার তার পিতা, ভাই, ছেলের জন্য বহন করা ওয়াজিব।
- মহিলা কারো ব্যয় বহনে আদিষ্ট নয়। যা পুরুষের বিপরীত।
- একজন পুরুষকে বিবাহের সময় স্ত্রীকে মোহরানা দিতে হয়, স্ত্রী ও সন্তানের অন্ন-বস্ত্র, চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হয়।
- যেহেতু পুরুষের দায়িত্ব বেশি সেহেতু তার অর্থের প্রয়োজন বেশি।
এ সকল কারণে একজন পুরুষের অংশ দুইজন মহিলার অংশের সমান। এছাড়া ইসলামে নারীরা উত্তরাধিকারের অধিকারী, যদিও ইসলাম মহিলাদেরকে উত্তরাধিকারের অর্ধেক অংশ বরাদ্দ দেয়।
COMMENTS