চতুর্দশ শতকে ইংল্যান্ডে দুটি স্বতন্ত্র আদালত ব্যবস্থা ছিল। এগুলি ল’ কোর্ট এবং ইক্যুইটি কোর্ট হিসাবে সুপরিচিত। বাংলাদেশে প্রচলিত নিষেধাজ্ঞা (...
চতুর্দশ শতকে ইংল্যান্ডে দুটি স্বতন্ত্র আদালত ব্যবস্থা ছিল। এগুলি ল’ কোর্ট এবং ইক্যুইটি কোর্ট হিসাবে সুপরিচিত। বাংলাদেশে প্রচলিত নিষেধাজ্ঞা (Injunction) আইন ইংল্যান্ডের ইক্যুইটি আইন থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। এটা মূলতঃ রোমান আইন থেকে ধার করা হয়েছিল।
সাধারণতঃ নির্দিষ্ট কোন কাজ করা হতে মামলার পক্ষগণকে বিরত রাখা বা মামলা করার পর কোন পক্ষের কৃত কর্মের জন্য পরিবর্তিত কোন সম্পত্তিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনাকে Injunction বা নিষেধাজ্ঞা বলে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী (Temporary injunction), অন্তর্বর্তী (Ad-interim injunction) বা স্থায়ী (Permanent injunction) হতে পারে।
তবে, আদালত কখন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখান করতে পারেন তা সবিস্তারে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
When can an injunction be refused?
নিষেধাজ্ঞা কখন না-মঞ্জুর করা হয়?
নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা না করা সম্পূর্ণরুপে আদালতের এখতেয়ারধীন, যদিও আদালতের এই এখতেয়ার যথাযথ ও যুক্তিযুক্তভাবে বিচারিক নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত হয়। ফলশ্রুতিতে, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ৫৬ ধারা অনুসারে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আদালত নিষেধাজ্ঞা না-মঞ্জুর করতে পারেনঃ
- যে আদালতে এরুপ নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করা হয়েছে সে আদালতের এখতিয়ারভূক্ত নয় এমন কোন আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য।
- কোন ব্যক্তিকে আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে বিরত রাখার জন্য।
- পূর্বে দায়েরকৃত কোন বিচার কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য, যদি না বিচার কার্যক্রমের অহেতুক সংখ্যা বৃদ্ধি রোধে তা আবশ্যক হয়।
- কোন সরকারী কর্তব্য কর্মে বা বিদেশী সরকারের সার্বভৌম কাজে হস্তক্ষেপ করার জন্য।
- কোন ফৌজদারী কার্যধারা স্থগিত রাখার জন্য।
- উৎপাতের অজুহাতে এমন কোন কাজ প্রতিহত করার জন্য, যা যুক্তিযুক্তভাবে সুস্পষ্ট নয়।
- যেখানে মামলার বিষয় বস্তুতে আবেদনকারীর কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই।
পরিশেষে, বলা যায় যে, আমাদের আইনের মূলনীতি হলো- “যদি অধিকার থাকে তবে উহার একটি প্রতিকার থাকতে হবে।” আর নিষেধাজ্ঞা হলো একটি ন্যায়সঙ্গত প্রতিকার। সুতরাং যে ব্যক্তি বিচার প্রত্যাশা করেন তাকে ন্যায় পরায়ণ হতে হবে।
COMMENTS