Equity of redemption ধারণাটি ইংল্যান্ডের ইকুইটি আদালত থেকে উৎপন্ন হয়েছিল। বন্ধকদাতা কর্তৃক তার বন্ধকী সম্পত্তি পুনরুদ্ধার অর্থাৎ বন্ধক মোচন...
Equity of redemption ধারণাটি ইংল্যান্ডের ইকুইটি আদালত থেকে উৎপন্ন হয়েছিল। বন্ধকদাতা কর্তৃক তার বন্ধকী সম্পত্তি পুনরুদ্ধার অর্থাৎ বন্ধক মোচন করার যে অধিকার ইকুইটি আদালত কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুসৃত হয়েছে তাকেই বন্ধকমোচনের ন্যায়গত অধিকার বলা হয়। তবে, ক্ষেত্র বিশেষ এই অধিকার খর্ব হতে পারে।
সুতরাং কখন ও কিভাবে বন্ধকী সম্পত্তি উদ্ধারের ন্যায়গত অধিকারের অবসান ঘটে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
When does equity of redemption end?
কখন বন্ধক উদ্ধারের পরিসমাপ্তি ঘটে?
বাংলাদেশে প্রচলিত সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ৫৮(ক) ধারা অনুসারে বন্ধক বা (Mortgage) হলো- ঋণগ্রহীতা কর্তৃক ঋণ ফেরতের নিরাপত্তা স্বরুপ কোন স্থাবর সম্পদের অধিকার বা স্বত্ত ঋণদাতার নিকট হস্তান্তর করা। আর যে সম্পত্তি রাখা হয় তাকে বন্ধকী বলা হয়। বন্ধকের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য হচ্ছে ঋণ পরিশোধের জামানত।
আর যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সুদসহ সকল দেনা পরিশোধ করে বন্ধকী সম্পত্তি উদ্ধারের সুযোগ ইকুইটি আদালত প্রদান করেন। একেই বলা হয়, “Equity of redemption” বা বন্ধক মোচনের ইকুইটি।
এই ইকুইটিগত অধিকারকে (Equitable right) সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৬০ ধারায় বিধিবদ্ধ আকারে বাংলাদেশে প্রচলিত করা হয়েছে। রেহেনের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের জন্য জামানত হিসেবে ঋণগ্রহীতা অর্থাৎ রেহেনদাতা তার ঋণ পরিশোধ করলেই রেহেন সম্পত্তি ফিরে পায়। সম্পত্তি ফিরে পাবার এই অধিকারকে রেহেনমুক্তির অধিকার বলে।
এছাড়া, যতদিন পর্যন্ত আইন সঙ্গতভাবে বন্ধকের পরিসমাপ্তি না ঘটে ততদিন এ অধিকার বলবৎ থাকে। তবে, নিম্নোক্ত উপায়ে বন্ধকী সম্পত্তি উদ্ধারের ন্যায়গত অধিকারের পরিসমাপ্তি ঘটেঃ
বন্ধকগ্রহীতা কর্তৃক ক্রয়ের দ্বারা (Purchase by Mortgagee)
বন্ধকগ্রহীতা কর্তৃক যদি বন্ধকী সম্পত্তি খরিদ করা হয়ে থাকে তবে বন্ধকী পুনরুদ্ধারের অধিকার থাকে না। কেণনা, বিক্রয় দ্বারা আইন সঙ্গতভাবেই হস্তান্তর হয়।
উদাহরণঃ
‘ক’ তার ১ বিঘা জমি ‘খ’ এর নিকট বন্ধক রেখে ১০ হাজার টাকা ঋণ করে। পরে আরো ১০ হাজার টাকা ‘খ’ এর নিকট হতে গ্রহণ করে ‘ক’ এ সম্পত্তির বিক্রয় কবলা রেজিস্ট্রি করে দেয়। এমতাবস্থায় ‘ক’ আর তার সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে পারবে না।
বন্ধক মোচনের অধিকার হরণ (Forceclosure)
বন্ধকদাতা তার দেনা পরিশোধ করে বন্ধকী সম্পত্তি উদ্ধার করেত ব্যর্থ হলে বন্ধকগ্রহীতা বন্ধক মোচনের অধিকার হরণের (Forceclosure) মামলা করে আদালতের মাধ্যমে বন্ধক মোচনের ক্ষমতার পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারে।
বন্ধক উদ্ধারের সময়-সীমা অতিক্রান্ত হলে (By lapse of time)
যে ক্ষেত্রে বন্ধকী-সম্পত্তি বন্ধকগ্রহীতার দখলে একাধিক্রমে ১২ বছর থাকে এবং উহা উদ্ধারের জন্য বন্ধকদাতার অনাগ্রহ লক্ষ্য করা যায়, সে ক্ষেত্রে বন্ধক মোচনের ক্ষমতার অবসান ঘটে।
বিধিবদ্ধ ক্ষমতা বলে বন্ধকগ্রহীকা কর্তৃক বিক্রির ফলে (Sale by the mortgagee under statutory power)
বন্ধকদাতা তার দেনা পরিশোধের সময়-সীমার মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বিধিবদ্ধ ক্ষমতা বলে (Statutory power) বন্ধক-গ্রহীতা বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রি করতে পারে। এর ফলে বন্ধক মোচনের ক্ষমতার অবসান ঘটে।
COMMENTS