আইনী কর্তব্য ছাড়াও একজন মুতাওয়াল্লীর ওয়াক্ফ সম্পত্তির যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে ধর্মীয় ও নৈতিক বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। তার পক্ষ থেকে কোন অব্যবস...
আইনী কর্তব্য ছাড়াও একজন মুতাওয়াল্লীর ওয়াক্ফ সম্পত্তির যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে ধর্মীয় ও নৈতিক বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। তার পক্ষ থেকে কোন অব্যবস্থাপনা বা অবহেলা আল্লাহর প্রতি অসম্মানের পরিমাণ হতে পারে। মুতাওয়াল্লীর কার্যালয় একজন ট্রাস্টীর মতো, তবে তার ক্ষমতা এবং কার্যাবলী পৃথক।
নিম্নে একজন মুতাওয়াল্লীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করা হলো।
What are the rights and duties of Mutawalli?
মুতাওয়াল্লীর অধিকার ও কর্তব্য কি?
মুসলিম আইন অনুসারে যে সময়ে ওয়াক্ফ সৃষ্টি করা হয় সে সময় হতে ঐ সম্পত্তির সকল স্বত্বাধিকার ওয়াকিফের নিকট আল্লাহ আল্লাহ তায়া’লার উপর ন্যস্ত করা হয়। কিন্তু সম্পত্তি দেখাশোনা ও তত্ত্বাবধান করার জন্য এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয় যাকে বলা হয় মুতাওয়াল্লী (Superintendent of waqf property)।
মুতাওয়াল্লীর অধিকার
ওয়াক্ফ সম্পত্তি মুওয়াল্লীর কোন স্বত্বাধিকার থাকে না তিনি এর ব্যবস্থাপক মাত্র। তিনি এর ট্রাস্টীও নন। ব্যবস্থাপক হিসেবে তিনি নিম্নোক্ত ক্ষমতা ভোগ করে থাকেনঃ
- ওয়াক্ফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে একজন ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকের যে সব অধিকার থাকে তিনি সে সব অধিকার ভোগ করে থাকেন।
- ওয়াক্ফ ও তার অছি (Executor) উভয়ের অবর্তমানে এবং তার উত্তরাধিকার নিয়োগ সম্পর্কে ওয়াক্ফনামায় কোন বিধান না থাকলে তিনি মারজ-উল-মাউতকালীন অবস্থায় উত্তরাধিকার নিয়োগ করতে পারেন।
- ওয়াক্ফনামায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলে মুতাওয়াল্লী সে মোতাবেক বিক্রি ও বন্ধক দিতে পারেন।
- ওয়াক্ফনামায় সুস্পষ্ট নির্দেশ না থাকলে কোন কৃষি জমি তিন বছরের বেশি এবং অকৃষি জমি এক বছরের বেশি সময়ের জন্য তিনি ইজারা দিতে পারেন না। অবশ্য আদালতের অনুমতিক্রমে এর চেয়ে বেশি সময়ের জন্য ইজারা দিতে পারেন।
মুতাওয়াল্লীর দায়িত্ব
একজন মুতাওয়াল্লীর কর্তবসমূহ নিম্নরুপঃ
- সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ওয়াক্ফ সম্পত্তিসমূহের প্রশাসকের নিকট ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিবন্ধকৃত করতে হবে।
- প্রতি বছর এ সম্পত্তির আয়-ব্যয়ের নিসাব প্রশাসকের নিকট পেশ করতে হবে।
- প্রশাসকের পরামর্শ ও নির্দেশ অনুসারে ওয়াক্ফ সম্পত্তি পরিচালনা করতে হবে।
- ওয়াক্ফ পরিপন্থী কোন কাজে মুতাওয়াল্লী কোন অর্থ ব্যয় করতে পারবে না।
- প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিরেকে কোন ওয়াক্ফ সম্পত্তি ইজারা দেয়া যাবে না।
- ১৯১৩ সালের ওয়াক্ফ ভ্যালিডেটিং এ্যাক্ট, ১৯৩৪ সালের বেঙ্গল ওয়াক্ফ এ্যাক্ট এবং ১৯৬২ সালের ওয়াক্ফ অর্ডিন্যান্স অনুসরণ করে চলতে হবে।
COMMENTS