ইংলিশ আইনী ব্যবস্থা যুগে যুগে বিচারকদের সিদ্ধান্তের দ্বারা বিকশিত হয় এবং এর ধারাবাহিকতা এখানোও অব্যহত রয়েছে। ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশ হওয়ায়,...
ইংলিশ আইনী ব্যবস্থা যুগে যুগে বিচারকদের সিদ্ধান্তের দ্বারা বিকশিত হয় এবং এর ধারাবাহিকতা এখানোও অব্যহত রয়েছে। ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশ হওয়ায়, এটি বাংলাদেশেও অনেক আনন্দদায়ক ও চাঞ্চলকর আইনী নীতিমালা রেখে গেছে, যার মধ্যে অনেকগুলি সম্পত্তি আইনের আওতায় পড়ে। আর তেমনি একটি নীতি হলো-“Possession is nine point of ownership” বা দখল মালিকানার নয় পয়েন্ট।
নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
Why possession is called nine point of ownership?
দখলকে মালিকানার নয় পয়েন্ট বলা হয় কেন?
দখল এর ধারণাটিকে সংজ্ঞায়িত করা খুব কঠিন। সাধারণতঃ কোন কিছু অধিকার করা বা অধিকারে রাখা বুঝায়। এছাড়া, দখল হলো মানুষ এবং বস্তুর মধ্যে প্রাথমিক সম্পর্ক।
আসলে, দখলকে মালিকানার “নয় পয়েন্ট” (দশের মধ্যে) হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর মূল কারণ হলো- এটি মালিকানার Prima facie evidence বা প্রথম প্রমাণ। সুতরাং, কোন ব্যক্তি যদি দখলদারকে বিক্ষুব্ধ করে, তবে তাকে অবশ্যই আরোও ভাল স্বত্ব বা অধিকার প্রদর্শন করতে হবে।
উদাহরণঃ
‘ক’ এর হাতে একটি কলম আছে, যা তার দখলে। ফলে, যদি ‘খ’ কলমটির মালিকানা দাবী করে, তবে তাকে উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে হবে।
সুতরাং এই অর্থে, আমরা বলতে পারি যে, একজন দখলদার প্রকৃত মালিক ব্যতীত সমগ্র বিশ্বের সকলের দৃষ্টিতে দখলকৃত বস্তুটির মালিক।
অধিকন্তু, মালিকানা ছাড়াই দখলের চুড়ান্ত ব্যবহারিক গুরুত্ব রয়েছে। এমনকি দখল দু’ভাবে মালিকানা সৃষ্টি করতে পারে। যথাঃ
- নিয়ন্ত্রণ (Control); ও
- দীর্ঘভোগ স্বত্বাধিকার (Aquisitive pescription)।
নিয়ন্ত্রণ
নিয়ন্ত্রণ (Control) এর দ্বারাও একজন ব্যক্তি মালিকা অর্জন করতে পারে। উদাহরণস্বরুপ, ‘ক’ একজন ঝাড়ুদার। যিনি ঝাড়ু দেওয়ার সময় একটি আংটি খুঁজে পায়। অতঃপর, সে ‘খ’ নামক স্বর্ণকারের নিকট আংটির পাথরটি পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু স্বর্ণকার আংটিতে থাকা পাথরটি ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে। এ ক্ষেত্রে যদিও ‘ক’ আংটির প্রকৃত মালিক নয়, তবুও দখল অধিকার (Possessory right) তাকে ‘খ’ এর নিকট হতে আংটিতে থাকা পাথরের মূল্য পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা প্রদান করে। [Armory V Delamorie (1722)]
দীর্ঘভোগ স্বত্বাধিকার
বাংলাদেশে প্রযোজ্য তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ২৬ ধারানুসারে, যে ক্ষেত্রে কোন গৃহে আলো বা বাতাসের প্রবেশ ২০ বৎসর যাবৎ অক্ষুন্ন রয়েছে এবং যে ক্ষেত্রে কোন পথ বা জলস্রোত বা পানির ব্যবহার বা অন্য কোন সুখাধিকার ২০ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ও অব্যহতভাবে ভোগ করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে অনুরুপ আলো-বাতাসের প্রবেশ, জলস্রোত পানির ব্যবহার অথবা অন্য কোন সুখাধিকার নিরঙ্কুশ ও অলংঘনীয় অধিকারে পরিণত হবে।
একই আইনের ২৮ ধারাতে জবর দখল (Adverse possession) বলা হয়েছে যে, অন্যের সম্পত্তি জোরপূর্বক ১২ বছরের অধিক সময় দখলে রাখলে এবং এই সময়ের মধ্যে প্রকৃত মালিক দখল পুনরুদ্ধারের জন্য কোর্টের আশ্রয় না নিলে বিরুদ্ধ দখলকারীর স্বত্ব অর্জিত হয় এবং প্রকৃত মালিকের স্বত্ব বিলুপ্ত হয়।
Great
ReplyDelete