সাধারণ আইন-কানুনের অধীনে, মধ্যযুগে (Quasi-Contract) বা নিম-চুক্তির সূচনা হয়েছিল। নিম চুক্তি মূলতঃ দুটি পক্ষের মধ্যে একে অপরের প্রতি পূর্ববর...
সাধারণ আইন-কানুনের অধীনে, মধ্যযুগে (Quasi-Contract) বা নিম-চুক্তির সূচনা হয়েছিল। নিম চুক্তি মূলতঃ দুটি পক্ষের মধ্যে একে অপরের প্রতি পূর্ববর্তী কোনরুপ বাধ্যবাধকতা ছাড়াই একটি চুক্তি যা আদালত ব্যবস্থাপনার দ্বারা তৈরি এবং আইনত স্বীকৃত। একটি লিখিত চুক্তির অভাবে একটি অর্ধ-চুক্তি বিদ্যমান থাকে।
নিম্নে নিম বা আধা-চুক্তি কাকে বলে তা উদাহরণসহ আলোচনা করা হলো। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
What is Quasi-Contract?
নিম-চুক্তি বা প্রায় চুক্তি কি?
চুক্তি ব্যতিরেকেই কোন কোন ক্ষেত্রে চুক্তির অনুরুপ দায়-দায়িত্ব ও অধিকারের সৃষ্টি হয়। চুক্তির ন্যায় বাধ্যবাধকতার সৃ্ষ্টি হলেও ইহা চুক্তি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়, দেশের সাধারণ আইন ও ন্যায়নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। বৃটিশ আইনে এগুলোকে (Quasi-Contract) বলে, যার বাংলা প্রতিশব্দ ‘প্রায় চুক্তি’। বাংলাদেশের আইনে ‘চুক্তি সদৃশ্য সম্পর্ক’ (Relation resembling those of contracts) হিসেবে এগুলি আখ্যায়িত হয়েছে এবং চুক্তি আইনের ৬৮ হতে ৭২ ধারা পর্যন্ত এগুলির বিধান রয়েছে।
উদাহরণ
ধরা যাক, আপনি Pizza Hut এ ওয়ানলাইনে একটি পিজ্জা ডেলিভেরি দেওয়ার জন্য অর্ডার করেছিলেন এবং কার্ডের মাধ্যমে পিজ্জার দাম পে করেছিলেন। কিন্তু ডেলিভেরি ম্যান তা ভূল ঠিকানা তথা ‘খ’ এর ঠিকানায় পিজ্জাটি নিয়ে যায় এবং ‘খ’ তাকে সংশোধন না করে পিজ্জাটি রেখে দেয়। এক্ষেত্রে, মোকদ্দমা দায়ের করা হলে কোর্ট একটি নিম চুক্তির ব্যবস্থা করবে যেখানে ‘খ’ আপনাকে আপনার পিজ্জার অর্থ ফেরত দিবে।
আর এই ধরণের চুক্তিটি অন্য পক্ষের ব্যয়ে কোনও পক্ষকে ‘পরিস্থিতি’ থেকে লাভবান হতে না দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আধা-চুক্তির প্রয়োজনীয় বিবেচ্য বিষয়
নিম চুক্তির রায় দেওয়ার সময় একজন বিচারকের জন্য অবশ্যই বিবেচ্য বিষয় রয়েছে। তা নিম্নরুপঃ
- বাদী অবশ্যই প্রমাণ করবে যে, একটি বাস্তব জিনিষ অথবা একটি পরিষেবা অন্য কোনও পক্ষকে দিয়েছে।
- বিবাদী অবশ্যই মূল্যবান জিনিসটির রসিদ গ্রহণ বা স্বীকৃতি স্বীকার করেছে তবে অর্থ প্রদানে কোনও প্রচেষ্টা বা প্রস্তাব দেয়নি।
- তারপরে, বাদীকে অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে যে বিবাদীর পক্ষে মূল্য না দিয়ে দামী জিনিষটি গ্রহণ করা কেন অন্যায্য হবে, তাই বিবাদী অন্যায়ভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করেছিল।
অর্ধ-চুক্তির প্রকারভেদ
- জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করা।
- ঋণ পরিশোধকারীর প্রাপ্য।
- সম্পাদিত কাজের সুবিধাভোগীর দাম।
- হৃত দ্রব্যের উদ্ধারকারীর দায়।
- ভূলবশত প্রদত্ত অর্থ ফেরত দেয়ার দায়।
COMMENTS