টর্টের যে সকল ক্ষেত্রে বিবাদীর অবহেলা বা অভিপ্রায় থাকুক বা না থাকুক, তার দায় সুনিশ্চিত; তাকে পরম দায় (Absolute liability) বলা হয়। কিন্তু অনে...
টর্টের যে সকল ক্ষেত্রে বিবাদীর অবহেলা বা অভিপ্রায় থাকুক বা না থাকুক, তার দায় সুনিশ্চিত; তাকে পরম দায় (Absolute liability) বলা হয়। কিন্তু অনেক টর্টে বিবাদীকে দায়ী করতে তার অভিপ্রায়, অবহেলা, ইত্যাদি বিবেচনা করতে হয়, তন্মেধ্যে ‘সায়েন্টার’ বিধি (Scienter Rule) অন্যতম।
নিম্নে আমি ‘সায়েন্টার’ বিধি উদাহরণসহ আলোচনা করব। আশা করি আপনি উক্ত বিধিটি সম্পর্কে জেনে উপকৃত হবেন।
What is the scienter rule in Tort law?
টর্ট আইনে সায়েন্টার বিধি কি?
বিপজ্জনক প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত প্রাণীর দ্বারা ক্ষতির জন্য একজন প্রাণীর রক্ষক কঠোরভাবে দায়বদ্ধ। যেমন, সিংহ, ভাল্লুক, হাতি, নেকড়ে, বান্দর ইত্যাদি।
পক্ষান্তরে, কোন বিশেষ গৃহপালিত পশুর যদি মানুষকে কামড়ানো বা আক্রমনের প্রবণতা দেখা যায় এবং মালিকের যদি তা জানা থাকে, তবে সেক্ষেত্রে মালিকে দায়ী করা যাবে। এ বিধিকে বলা হয় ‘সায়েন্টার’ বিধি (Scienter Rule)। যেমন, এই শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত প্রাণী হলো- কুকুর, ঘোড়া, গরু, ভেড়া, বিড়াল ইত্যাদি।
সংশ্লিষ্ট জন্তুটি পূর্বে এরুপ ক্ষতি করেছে কিনা তা প্রমাণের প্রয়োজন নাই। শুধু জন্তুটির এরুপ প্রবণতা বিবাদীর জানা ছিল কিনা সেটাই বিবেচ্য বিষয়। তাই ‘ক’ এর কুকুর যদি ‘খ’ কে কামড় দেয় তবে ‘খ’ কে প্রমাণ করতে হবে যে, কুকুরটির মানুষকে আক্রমণ করার বিষয়ে ‘ক’ পূর্ব হতেই অবগত ছিল।
উদাহরণ-১
‘ক’ একটি সিংহকে লোহার শিকল দিয়ে বেধেঁ রাখে। ‘ক’ এর কোন অবহেলা না থাকা সত্ত্বেও শিকলটি ভেঙ্গে যায় এবং ‘খ’, ‘ক’ দেখতে আসলে সিংহটি ‘খ’ কে আক্রমন করে।
এক্ষেত্রে সিংহ একটি বন্য ও হিংস্র প্রাণী। এরুপ প্রাণী কেউ বাসায় রাখলে এবং তা ছাড়া পেয়ে কারো ক্ষতিসাধান করলে রাইল্যান্ডস বনাম ফ্লেচার বিধি অনুযায়ী তার দায় সুনিশ্চিত (Absolute)। এক্ষেত্রে তার কোন অবহেলা না থাকলেও তাকে দায়ী হতে হবে। এ সকল দায়-দায়িত্বের ক্ষেত্রে যে সকল ব্যতিক্রম রয়েছে তার মধ্যে যথাযথ সাবধানতা অন্তর্ভূক্ত নয়। কাজেই যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করে থাকলেও একজন বৈধ আগমনকারীকে আঘাত করার জন্য ‘ক’ দায়ী হবে।
COMMENTS