ধরা যাক, এক ব্যক্তি আপনার নিকট এসে জানায় যে, তাকে তার সম্পত্তি থেকে বেদখল করা হয়েছে এবং সে উক্ত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে চায়। আপনি সুনির্দিষ...
ধরা যাক, এক ব্যক্তি আপনার নিকট এসে জানায় যে, তাকে তার সম্পত্তি থেকে বেদখল করা হয়েছে এবং সে উক্ত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে চায়। আপনি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ৯ ধারা মোতাবেক উক্ত সম্পত্তি দখল পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত দিলেন। আপনি তার কাছ থেকে কি কি বিষয়ে জেনে নিবেন এবং আপনার আর্জিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন?
নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
Recovery of possession under section 9 of SR Act, 1877
বেদখল সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে ৯ ধারায় মামলা
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ৯ ধারা মোতাবেক প্রতিকার চাইতে হলে মালিকানা প্রমাণের কোন প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র সম্পত্তি থেকে দখলচ্যুত হয়েছেন এটি প্রমাণ করলেই চলবে। কেননা, এই ধারায় বলা আছে-
“যদি কোন ব্যক্তি স্থাবর সম্পত্তি হতে বেদখল হন, তবে তিনি বা তার মাধ্যমে দাবীদার কোন ব্যক্তি মোকদ্দমা দায়েরের মাধ্যমে এর দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন।”
এ ক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলি বিবেচনা করা হয়, তা নিম্নরূপঃ
- বাদী অর্থাৎ যিনি প্রতিকার দাবি করেছেন, তিনি সম্পত্তিটি দখল করে আসছিলেন কি না;
- বিবাদী তাকে জোরপূর্বক বেদখল করেছেন কি না; এবং
- বিবাদী বেআইনীভাবে সম্পত্তিতে প্রবেশ করেছেন কি না।
বেদখল পুনরুদ্ধারের তামাদি
তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ১ নম্বর তফসিলের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, বাদীকে অবশ্যই দখলচ্যূত হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে মামলা দায়ের করতে হবে। অন্যথায় সে এ ধারায় মামলা করার অধিকার হারাবে।
আর্জিতে কি কি অন্তর্ভূক্ত করবেন?
দেওয়ানী মামলার প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো- আর্জি। বাদী কেন এবং কি প্রতিকার চাই, তা সেখানে সুস্পষ্টভাবে আর্জিতে উল্লেখ করা থাকে। কাজেই ৯ ধারায় মামলার ক্ষেত্রে আর্জিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভূক্ত করতে হবেঃ
- সম্পত্তিটি বাদীর দখলে ছিল;
- বাদীর সম্মতি ছাড়া তাকে দখলচ্যুত করা হয়েছে;
- আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়াই দখলচ্যুত করা হয়েছে; এবং
- সম্পত্তি থেকে বেদখল হওয়া ৬ মাস অতিক্রান্ত হয় নি।
COMMENTS