আদালত প্রদত্ত যেকোন রায় অসাবধানতা বশতঃ বা মানবিক ত্রুটির কারণে ভূল হতে পারে। এমনকি নির্ভুলভাবে বিচারিক রায় দানের যথাযথ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এ...
আদালত প্রদত্ত যেকোন রায় অসাবধানতা বশতঃ বা মানবিক ত্রুটির কারণে ভূল হতে পারে। এমনকি নির্ভুলভাবে বিচারিক রায় দানের যথাযথ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই প্রক্রিয়াতে পদস্খলন হতে পারে।
ফলে, ন্যায় বিচার বজায় রাখতে এবং ন্যায়বিচারের নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এ রিভিশনের বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে। রিভিশনের পরে আদালত তার সিদ্ধান্ত সংশোধন করতে এবং পরিবর্তনগুলি প্রয়োগ করতে পারেন।
নিম্নে রিভিশন এবং রিভিশনের এখতিয়ার আছে এমন আদালত সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
What is revision and which courts have revision jurisdiction?
রিভিশন কি ও কোন আদালতের রিভিশন এখতিয়ার আছে?
রিভিশন বলতে নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী বা আদেশ ক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চ আদালত কর্তৃক বিচারিক প্রতিকার সংশোধন করাকে বুঝায়।
রিভিউ এবং রিভিশনের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ রিভিউ দায়ের করা হয় ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে। পক্ষান্তরে, রিভিশন দায়ের করা হয় ডিক্রী প্রদানকারী আদালতের রিভিশন ক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চ আদালতে।
মূল মামলা বা আপীলে প্রদত্ত যে সকল আদেশ বা ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপীল করা যায় না সেই সকল আদেশ বা ডিক্রীর বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায়। দেওয়ানী আদালতের ডিক্রী বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ রিভিশন (Revision) আবেদন দায়ের করতে পারেন।
দেওয়ানী আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে রিভিশন মামলা দায়েরের প্রধান কারণ হলো- দেওয়ানী আদালতের আইনগত ভুল সনাক্ত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও সম্পন্ন করা ।
যে সকল আদালতের রিভিশন এখতিয়ার আছে
দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ১১৫ ধারানুসারে, দুই ধরনের আদালতের রিভিশন এখতিয়ার রয়েছে। যথাঃ
- হাইকোর্ট বিভাগ; এবং
- জেলা জজ আদালত।
হাইকোর্ট বিভাগ
হাইকোর্ট ডিভিশন দেওয়ানী কার্যবিধির ১১৫ ধারার অধীন রিভিশন এখতিয়ার প্রয়োগ করতে গিয়ে নিম্ন আদালতের আইনী সিদ্ধান্তের সব ক্ষেত্রেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বরং গুরুত্বপূর্ণ আইনগত প্রশ্নে ভুল ও ন্যায় বিচার বিঘ্ন ঘটে এমন বিষয়ে রিভিশন এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে।
দেওয়ানী কার্যবিধির ১১৫(১) উপ-ধারানুসারে, হাইকোর্ট বিভাগে নিম্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে রিভিশন দায়েরের আবেদন করা যাবেঃ
- জেলা জজ আদালত (District Judge's Court) বা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে; এবং
- সহকারী জজ আদালত বা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বা যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে।
জেলা জজ আদালত
দেওয়ানী কার্যবিধির ১১৫(২) উপ-ধারানুসারে, নিম্নে বর্ণিত আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করা যায়ঃ
- সহকারী জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে;
- সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে; এবং
- যুগ্ম জেলা-জজের আদেশ বিরুদ্ধে।
এছাড়া, দেওয়ানী কার্যবিধির ১১৫(৩) উপ-ধারার অধীন অতিরিক্ত জেলা জজ জেলা জজের রিভিশন এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেওয়ানী মোকাদ্দমার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় আপীল করা যায় না; কিন্ত দেওয়ানী কার্যবিধির ১১৫(৪) উপ-ধারা অনুসারে দ্বিতীয় রিভিশন করা চলে। তবে দ্বিতীয় রিভিশন সাধারণত হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা যায়।
জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ কর্তৃক রিভিশন মামলায় প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে অনুমতি সাপেক্ষে রিভিশন দায়ের করতে পারে। অর্থাৎ রিভিশন দায়ের করতে হলে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন। এছাড়া, দেওয়ানী আদালতে রিভিশন দায়েরের জন্য কোন তামাদিকাল নেই।
10 Best US sports toto
ReplyDeleteIn this example, let's say that we're looking for an all-time sporting100.com high five to the same team. You've seen it referred to as high-five, and so forth,